ফিরহাদ বলেন, "আমরা বলতে জানি মা গো ভাবনা কেন ? আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি, ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি। মমতা তুমি এগিয়ে চল আমরা তোমার সঙ্গে আছি।"
গতকালের সভায় BJP ও CPI(M) কে একহাত নেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, "ওই মোটা লোকটা আছে। যার ৩৬ না ৪২ ইঞ্চি ছাতি রয়েছে তাঁর ছেলের এত টাকা হল কী করে? ভোটটা চলে যাক। তখন টাইট দেব। এখানে কারা যেন আছে। ওই লাল চুল, কানে দুল, মেয়ে দেখলেই সিটি মারে তারাই BJP-র দলে।" ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে BJP-কে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, "আমরা সবাই মিলে বাংলায় থাকি। আমরা হিন্দুত্ব কার কাছে শিখব রামকৃষ্ণের কাছে না ওই যে মোটাটা আসে ওর কাছ থেকে। পশ্চিমবঙ্গে গব্বর সিং ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাম্বা কালিয়াকে পাঠাচ্ছে। বলছে ভাগ মমতা ভাগ। মমতা কে ? উনি বাংলার অংশ, মায়েদের অংশ।"
তৃণমূল সুপ্রিমো সম্পর্কে ফিরহাদ বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সততার প্রতীক। তিনি কখনও অন্যায় করতে পারেন না। অন্যায়ের সঙ্গ দিতে পারেন না। সারা জীবন মানুষের জন্য অর্পণ করেছেন। আজ যাই হোক না কেন তিনি সবসময় মানুষের সঙ্গে থাকবেন। মানুষের হয়ে কথা বলবেন। আমরা SIT করার পর টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছিল।"
এরপর সুজন চক্রবর্তীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন,"গতকাল সুজন চক্রবর্তী চিটফান্ডে প্রতারিতদের নিয়ে ধরনায় যাচ্ছিলেন। উনি তো নিজেই বারুইপুরে জমি লেনদেনের চিটফান্ডের সঙ্গে যুক্ত। ধরনায় এলে তৃণমূল কর্মীরা জুতো খুলে মারতেন। ওর সাদা চুল সব উঠে যাবে। ভাগ্যিস আসেনি। নিজেদের অপদার্থতার জন্য CPI(M)-র ভোট কমে গেছে।" আরও বলেন, "একবার আমার এক সিকিউরিটি গার্ডের বাড়ি গেছিলাম। জিজ্ঞেস করলাম CPI(M)-র পতাকা নেই কেন? ও বলল দাদা CPI(M) কে জিজ্ঞেস করেছিলাম ওরা বলল নারে পতাকা দেখলে লোকে হাসে। অনেকে থুতু ফেলে। আমি বলেছি CPI(M) নামে অসাম্প্রদায়িক, পিছন থেকে BJP-কে মদত দিচ্ছে। BJP আর কিছু নয়, নতুন মদের বোতলে পুরোনো মদ ঢালা। CPI(M) ভিতরে আর উপরের বোতলের নাম BJP। নিজেদের গট আপ চলছে। কিছু দেওয়া হচ্ছে, তার পরিবর্তে কিছু নেওয়া হচ্ছে।"
তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি নির্মাণ নিয়ে দু'হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির কাগজ আমার কাছে রয়েছে। লোকসভা ভোটের পর আমি সেই কাগজ প্রকাশ্যে আনব। ওই দুর্নীতির তদন্ত হবে। সারদা তদন্তে লাল ডায়েরি বলে কিছুই নেই সারদার মালিকই তা বলে দিয়েছেন।"
তবে গতকালের সভা নিয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, "সেদিনের মিটিংয়ে ব্রিগেডের থেকে বেশি লোক হয়েছিল। গতকালের সভায় পাঁচ হাজারের বেশি লোক হয়নি। ওরা বসিরহাট থেকে এসেছিল। এখানে দাড়িওয়ালা চাচা মতুয়ারা এসেছেন। দেখলাম সরকারি বাসে তৃণমূলের পতাকা লাগানো।"