আজ শিলঙে রাজীব কুমারকে জেরা করে CBI। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয় বলে সূত্রের খবর। তাঁর জন্য ২২ পাতার একটি প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়। তাঁর আইনজীবী আবেদন করলেও জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁদের সেখানে থাকতে দেওয়া হয়নি।
রাজীব কুমার পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে CBI অফিসে পৌঁছান রাজীব কুমারের আইনজীবী। তিনি CBI আধিকারিকদের কাছে অনুরোধ করেন, মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে যেহেতু মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে সেই সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ কমিশনারের কলকাতায় থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তাঁকেও সেখানে থাকতে দেওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি।
সারদা চিটফান্ড তদন্তে দিনকয়েক আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাসভবনে যান CBI আধিকারিকরা। তাঁদের বাসভবনে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। কয়েকজন CBI আধিকারিককে আটকও করা হয়। এরপর রাজীব কুমারের বাসভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, ধরনায় বসছেন। ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে শুরু হয় ধরনা। ধরনামঞ্চ জাতীয় স্তরে BJP বিরোধী একাধিক নেতা-নেত্রীকে দেখা যায়। আসেন RJD নেতা তেজস্বী যাদব, DMK নেত্রী কানিমোঝি এবং TDP সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু।
এদিকে বাধা পেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় CBI। রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, আপাতত রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তবে, তাঁকে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার নির্দেশ দেয় আদালত। মেঘালয়ের শিলঙে তাঁকে CBI-র সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার পর কলকাতার পুলিশ কমিশনার CBI-কে চিঠি দিয়েছিলেন। চিঠিতে তিনি জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টায় শিলঙে CBI দপ্তরে গিয়ে সংস্থার ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করবেন। কিন্তু, CBI রাজীব কুমারের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। CBI জানায়, রাজীব কুমার কবে দেখা করবে, সেটা তারা ঠিক করবে। এরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ৯ ফেব্রুয়ারি ডেকে পাঠায় CBI। শিলঙে CBI অফিসে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, ২১ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে মামলার পরবর্তী শুনানি।