চকভৃগুর বেলাইন এলাকায় একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন মেনকাদেবী। এখনও পেনশন পান। তবে নিজের প্রাপ্যটুকুও জোটে না। বলা ভালো খাবারটুকুও জোটে না দু'বেলা। বাঁচতে হয় অন্যের দয়ায়। দয়া করে কেউ একটু খাবার তুলে দিলে সেটাই খান। আর না দিলে ? সেদিন অভুক্ত। বেশ কয়েকদিন পেটে দানাপানিটুকুও পড়েনি। জোটেনি শীতবস্ত্রও। আর তার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বালুরঘাট পৌরসভা চত্বরে একই জায়গায় দুই তিনদিন ধরে অভুক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। অবশেষে বিষয়টি নজরে আসে বালুরঘাট পুলিশের। বৃদ্ধাকে ভরতি করা হয় বালুরঘাট হাসপাতালে।
স্বামী অনেক দিন আগেই মারা গেছেন। চকভৃগুতে ঘর বাড়ি সবই ছিল। ছেলের মদ্যপান ও জুয়ার কারণে সেই সব বিক্রি হয়েছে অনেক আগেই। বর্তমানে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু নেই। ভবঘুরে জীবন। মাসের প্রথমে পেনশনের টাকা তুলে নিয়ে চম্পট দেয় গুণধর ছেলে। বয়সের কারণে দৃষ্টিশক্তিও কমেছে। এর ওর দোকানের সামনে রাত গুজরান। গত কয়েক দিন ধরেই বেশ শীত পড়েছে বালুরঘাটে। তার মধ্যে আবার খোলা আকাশের নিচে থাকছেন তিনি। গতকাল ঠান্ডায় তাঁকে কাঁপতে দেখেন স্থানীয় একজন। একটা কম্বল ও খাবার কিনে দেন। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরেই খাবার পাননি তিনি। বিনা শীতবস্ত্রেই কেটেছে রাত। তার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। গতকাল অসুস্থ মেনকাদেবীকে বালুরঘাট হাসপাতাল ভরতি করা হয়েছে।