মাস্ক হিসেবে
তরমুজের সঙ্গে ১ চামচ বেসন, দু’চিমটি হলুদ ও পরিমাণ মতো টক দই এবং ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে একটি মাস্ক তৈরি করতে পারেন। এই প্যাকটি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এই মাস্ক টোনার হিসেবে উপকারী। ফলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়বে না।
ত্বকে সতেজতা আনতে
ব্ল্যাকহেডস, ত্বকে রোদে পোড়া ভাব কিংবা ব্রণের সমস্যা এই গরমে বেশি দেখা যায়। এসব সমস্যার সমাধানে তরমুজের মাস্ক বা তরমুজের রসের আইস কিউব খুব উপকারি। এগুলির ফলে আপনার ত্বক ঠান্ডা থাকে।
ময়েশ্চারাইজার
ত্বকের পোড়া ভাব দূর করতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। তরমুজে ভিটামিন C আছে। যা আমাদের ত্বকের জন্য উপকারি। এছাড়াও তরমুজ আপনি ময়েশ্চারাইজা়র হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এক টুকরো তরমুজ কেটে নিয়ে ত্বকে হালকা করে ঘষে নিতে পারেন। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
স্ক্রাবার
তরমুজের রসের সঙ্গে চালের গুঁড়ো মিশিয়ে স্ক্রাবিং করতে পারেন। ১০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তরমুজের বীজ শুকিয়ে গেলে এটি গুঁড়ো করে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করুন। ইচ্ছা হয়ে এর সঙ্গে ক্লিনজার মিশিয়ে নিন। এটি আপনার ত্বকের কালো দাগও দূর করবে।
ক্লিনজার হিসেবে
এমনিতে তৈলাক্ত ত্বকে ব়্যাশ আর ব্রণের সমস্যা আরও বেশি দেখা দেয়। গরমে সেটি আরও বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে এই সমস্যা কমাতে তরমুজ ব্যবহার করতে পারেন। তরমুজ এবং লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। যাদের ত্বক শুষ্ক, তাঁরাও তরমুজ, পাকা কলা, দুধ মিশিয়ে একটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন প্যাকটি ব্যবহার করুন।
তরমুজের খোসা
তরমুজের খোসার সবুজ অংশ পাতলা করে কেটে নিয়ে অল্প জলে সেদ্ধ করে নিন। এরপর খোসা সেদ্ধ জল ঠান্ডা করে টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
ব্রণের সমস্যায় তরমুজের বীজ
ব্রণের সমস্যা দূর করবার জন্য তরমুজের বীজগুলি প্রথমে পরিষ্কার করে নিন। তারপর এগুলি জলে সেদ্ধ করে নিন। বীজগুলো নরম হয়ে গেলে পেস্ট করে ব্রণের ওপর মালিশ করুন। তিন থেকে পাঁচ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে তার ওপর ডিমের সাদা অংশ ব্রাশ দিয়ে আলতো করে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।